Skip to main content

Tulsipurer Kotha

তুলসীপুরের কথা



দেশ যখন স্বাধীনতা সংগ্রামের আগুনে জলছে, একদিকে চলছে যুগান্তর দলের একের পর এক আক্রমণ ইংরেজ সরকারের দফতরে, কোষাগারে, কিংবা নিশানা হচ্ছেন বড় বড় সরকারী কর্মচারী, দিনাজপুরের এক কোণের ছোট্ট গ্রাম তুলসীপুর তার থেকে বাদ যায় কি করে? স্বদেশী আন্দোলনে দলে দলে ছেলেমেয়েরা যোগ দিচ্ছে কংগ্রেস কিংবা বেঙ্গল ভলেনটিয়ার্সে। জমিদার ত্রিলোচন রায় চৌধুরীর বয়েস এখন পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। বিয়ে তিনি করেননি। প্রপিতামহের জমিদারি তিনি সামলান। মানুষ করেছেন মাতৃহীন তিন ভ্রাতুসপুত্রদের এবং ইংরেজদের রায় বাহাদুরী খেতাবের লোভে দেশ বেচতে নারাজ তিনি। তার জন্য নিয়মিত ঝক্কি পোয়াতে হয় তাকে। এই যেমন শীতের শেষের দিক এখন। সকালের চাটায় সবে চুমুক দিতে যাবেন এমন সময়ে পুরোনো চাকর বিহারী এসে জানায় বালুরঘাট থানার পুলিশ এসেছে দেখা করতে। আর এক পেয়ালা চা আনতে পাঠিয়ে সোজা হয়ে বসেন জমিদার ত্রিলোচন রায় চৌধুরী। ডাক পরে তার ইংরিজি বলা, সাহেবদের সাথে ওঠাবসা করা ছোট ভাইয়ের।দুই ভাইয়ের এই একটি বিষয় ঘরতর অমিল। বিনয় রায় চৌধুরীর সাথে তার বড় ছেলের চেহারার অনেক মিল, ছেলের চল্লিশে পা পড়লে হয়তো এমনই চেহারা হবে তার।

 

সাহেব পুলিশ এসে দাড়াল জমিদারবাবুদের কাছে। সে ভালো করে জানে তার মনের সন্দেহের কোন প্রমাণ নেই, এরা পড়াশুনা জানা ভদ্রসমাজের বাবু। এদের সাথে চালাকি চলবে না। তা ছাড়া লাট সাহেবের সচিবকে চেনে এরা। 

“বলুন।” খানিকটা বিরক্ত স্বরে বললেন ত্রিলোচন। সাহেব তার সাথে আসা কনস্টেবল এর দিকে চাইল। 

“আজ্ঞে বড় কত্তা…” ইতস্তত হয়ে বলল গ্রামের ছেলে সদ্য কনস্টেবল হওয়া মুখার্জী, “আমরা একটা দলকে খুঁজছি, মানে সাহেবের মনে হয় ওরা তুলসীপুরেই গা ঢাকা দিয়েছে।”

“কোনো  প্রমাণ আছে তোমার সাহেবের কাছে?” গর্জে উঠলেন জমিদার “নাকি সকাল সকাল এমনই চলে এলেন ভয় দেখাতে?” কনস্টেবল চুপ। সাহেবের মুখে ভ্রূকুটি। সে বাংলা বলতে না পারলেও বুঝতে পারে। 

“ত্রিলোচন রায় চৌধুরী কাউকে ভয় পায়না । বলে দাও তোমার সাহেব কে । প্রমাণ ছাড়া যেন এ গ্রামে না দেখি তাকে। আমার পূর্বপুরুষরা পলাশীর পর সমর্থন করেনি এই গোরাদের, তার জন্য তাদের প্রাণ দিতে হয়েছিল। দরকার পড়লে এই  ত্রিলোচন....” উত্তেজিত হয়ে হাতির দাঁতের কাজ করা লাঠিতে ভর দেন তিনি। 

“আহ দাদা, দাড়াও না আমি কথা বলছি।” বলে ওঠেন ছোট ভাই। কথায় বিভ্রাট ঘটে কারণ চাকর এসে পরেছে পরসেলেন পেয়ালাতে চা নিয়ে। সে চলে যাবার পর একটা চুরুট প্রদান করেন বিনয় সাহেবকে। দাদার সামনে তিনি নিজে খান না, তবে সাহেবকে ক্ষুব্ধ করে কি লাভ? ব্যবসা করতে হবে তাকে। সাহেব মাথা নেড়ে না বলে দেন। 

“ We  will  inform  you  as  soon  as  we  get  any  news” বিনয় স্বচ্ছ ইংলিশে  জানান সাহেবকে, সে মাথা নেড়ে উঠে পরে। এক দৃষ্টে যেতে দেখেন তাদের, বড় জমিদার। 

“হুঃ !” মুখ বিকৃত করে বলে ওঠেন ত্রিলোচন “বঙ্গসন্তানের একি দুর্দশা, সাহেবের পা ধরে পড়ে থাকতে হয়।”

“দাদা, আমি তোমায়ে আগেও বলেছি, অনেকবার বুঝিয়েছি। বেকার ঝামেলায়ে পরে কি লাভ? যখন আমরা সত্যিই কিছু জানিনা?” উঠে চলে যান ত্রিলোচন। বিনয় শুনতে পান বাড়ির ভেতর তার হাকডাক “বৌমা? ও মা? বলি আমার ঘরে এসো একবার, আর বিহারী কে বোলো হুকাটা আনতে।”

“আসছি।” হেঁশেল থেকে আওয়াজ শোনা যায়ে বন্দিতার। বিনয় চুরুট ধরান । 


বৌমার উপর যে মেয়ের মতন স্নেহ করেন তার দাদা সেটি সর্বদা ছিলনা। এতদিন ধরে খানিকটা শিখিয়ে পরিয়ে নিজের হাতে সংসার করা শিখিয়েছেন তিনি মেয়েটাকে। তাতেই হয়তো বাপমরা মেয়েটার প্রতি মায়া। কিন্তু যেদিন বন্দিতা প্রথম তুলসীপুরে পা রাখে সেইদিন যেন ঝড় বয়ে গেছিল রায় চৌধুরী পরিবারের উপর। অনিরুদ্ধ বরাবরের জেদি, তা বিনয় জানে। দোষই বা দেয় কি করে? তার পুত্র যে তারই মত। কিন্তু এ কেমন জেদ ? যে ছেলে সকালে জলখাবারে বসে বাল্যবিবাহের ঘোরতর বিরোধ করে, সে কিনা নিজের ভালোবাসা, স্বাভাবিক জীবন ও শান্তি নষ্ট করে স্বেচ্ছায় একটি আট বছরের শিশুকে বাড়ির বউ করে আনে? কি ভেবে? বন্দিতারা গরীব, নিম্ন জাতির..  সে নাহয় বিনয় যদি নাও ধরত, কিন্তু সৌদামিনীর বাবাকে সে কি মুখ দেখাবে? সমাজকে কি বলবে? একটি বিধবা শিশুকে বিয়ে করে আনলো রায় চৌধুরীদের বড় ছেলে? কেন?

“শিশুটিকে এমনই বাঁচানো যেত না ?” গর্জে উঠেছিলেন ত্রিলোচন বাবু, “আর যদি নাই যেত, তোমার কি দরকার ছিল সমাজসেবা করে জীবন নষ্ট করার? মরতে দিতে!”

“সৌদামিনীর বাবাকে আমি কি উত্তর দেবো তা ভেবেছ ?” বিনয় শুধিয়েছিল। সর্বদা তর্ক করা অনিরুদ্ধ তখন বাকরুদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছিল বাবা জ্যাঠার সম্মুখে। কি করে ফেলে আসত অমন নিষ্পাপ প্রাণীটিকে ? নিজেকে ক্ষমা করতে পারত না সে। সেই অপরাধবোধ নিয়ে সৌদামিনীকে খুশি রাখতে পারত সে? আর বিয়ে না করলে তুলসীপুর আনতো কি পরিচয়ে? সে কি চেনে না গ্রামবাসীদের? চোখ ছলছল করে ওঠে সেদিন অনিরুদ্ধর। থেমে যায় হঠাৎ ত্রিলোচন; মায়ের অকাল মৃত্যুর পর সে আর কাঁদতে দেখেনি কোনদিন অনিরুদ্ধকে। অনিরুদ্ধ হাত জোর করে ক্ষমা চেয়ে নেয় সেদিন। সে সৌদামিনীর অপরাধী, কিন্তু কেন জানি সিঁদুরের রঙ ললাটে রাঙানোর সাথে সাথে বন্দিতার প্রতি এক তীব্র দায়িত্ববোধ জন্মায় তার। বাবা জ্যাঠার কুকথা ও ভাইদের অবাক দৃষ্টির মাঝে সে পেছনে ফিরে দেখে বিস্ময় ভরা দুটি চোখ চেয়ে আছে তার দিকে। ভয় পেয়েছিল কি সেদিন বন্দিতা? তা পেতে পারে, সে তো আর তখন জানত না কেমন নিত্য লেগে থাকে রায় চৌধুরীদের বড় ছেলের জেদ। এখন সেই বন্দিতা যার গৃহপ্রবেশ করতে চাননি জমিদারবাবু তাকে ছাড়া বাড়ি অন্ধকার। সময় ভারী আশ্চর্য জিনিস। 


“একি বাবা, কাজে বেরবেন না?” বিনয় তার দ্বিতীয় সন্তান সোমনাথের দিকে চাইলেন , “খাজাঞ্চী বাবু হাজির যে।” 

“চলো।” উঠে পড়লেন তিনি। 


বন্দিতা বিহারী বাবুকে সাথে নিয়েই ত্রিলোচনের ঘরে ঢুকল। বিহারী বাবু সদ্য সাজানো গড়গড়িটা জমিদারবাবুর সম্মুখে রেখে বেরিয়ে গেল আর আরাম কেদাড়ায়ে হেলান দিয়ে চোখ বুজে শুয়ে থাকা ত্রিলোচন মুখ তুলে চাইলেন বৌমার দিকে। 

“বিনয় বেরিয়ে গেল বুঝি?”

“এই তো সবে” বন্দিতা মাথা নেড়ে জানিয়ে দিলো , “কিছু বলতে হতো বুঝি?” জিজ্ঞাসা করল সে, “তাহলে বিহারীবাবুকে বলছি।”

“না না “ হঠাৎ গলা নামালেন ত্রিলোচন “বলছি ওই  ছেলেগুলোর থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা..  “

“সে নিয়ে আপনার কি চিন্তা? আগে যেন এমন হয়নি?” বন্দিতার চোখ কুচকে গেল “আমি আর কোয়েলি দিদি ছাড়া কেউ জানবেনা । কোয়েলি দিদি হেঁশেল থেকে খাবার দিয়ে আসবে। আমিই যেতে পারতাম যদি আপনি ব্যারিস্ট্রা বাবুকে বলতে দিতেন কোয়েলি দিদিকেও বলার দরকার হতোনা।”

“তাকে বলে আর কাজ নেই।” ত্রিলোচনের কথায়ে হেসে ফেলল বন্দিতা। সে একা না, এবাড়িতে সবাই কম বেশি ভয় করে অনিরুদ্ধকে। “আর তোমার গিয়েও কাজ নেই ।”

“বেশ মজা হতো।” হঠাৎ তার কথায় কৌতূহলের দৃষ্টিতে চাইলেন জমিদারবাবু “কোনদিন বিপ্লবী দেখিনি, মানে কেমন দেখতে হয় ঠিক" হো হো করে হেসে ফেললেন ত্রিলোচন বন্দিতার কথায়। 

“তা মানুষের মতনই হয়, নিজের স্বামীকে দেখোনা?” হঠাৎ কেমন লজ্জিত বোধ করে রায় চৌধুরী গিন্নি। সে এখন বড় হয়েছে, অন্য কেউ স্বামীর ব্যাপারে পরিহাস করলে লজ্জা লাগে বইকি এ  তো স্বয়ং শ্বশুরমশাই।

“উনি কি আর বিপ্লবী?” লজ্জিত সুরে বলে ওঠে বন্দিতা। 

“তা বৌমা, বিপ্লবী কি শুধু এক প্রকারের হয়?” ত্রিলোচনের কথায় অবাক হয়ে চায় সে, “এই যে তোমরা তুলসীপুরে কি প্রচন্ড বিপ্লব ঘটিয়ে মেয়েদের বাড়ির বাইরে পড়তে আনলে, তা কি কম সাহসের কথা?” বন্দিতা সায় দেয়, তারপর শ্বশুরমশায়ের হাতে গড়গড়ার নল ধরতে দেখে চলে যায়ে পড়ার ঘরে। বইয়ের পাতা উল্টতে শুরু করে সে। অনেক কাজ বাকি। 





Comments

Popular posts from this blog

Tulsipur

When the country was ignited with the fiery spirit of freedom, on one side, Yugantar Dol was attacking the offices of the British government one after another, and on the other, the treasuries or officials were being constantly targeted or gunned down, how could Tulsipur, a small village in a corner of Dinajpur, be left out of it? People were joining Congress or Bengal Volunteers in groups in a bid to contribute to the movement.  Zamindar Trilochan Roy Chowdhury was now fifty-four years old. He remained unmarried throughout his life, being a parent to his three motherless nephews. He managed his great-grandfather's estates, and he was unwilling to sell his pride in the greed of the title of Ray Bahaduri to the British. He had to fight regularly for that.  This was the end of winter. Just as he was about to sip his morning tea, the old servant Bihari came and informed him that an officer of Balurghat Police Station had come to meet him. Zamindar Trilochan Roy Chowdhury sent for anot

The Girl From Kolkata

Soudamini was a student of Scottish Church College. She would be twenty-two years old, but in keeping with the day’s city life and fashion, she was not married yet. She spent her childhood in Tulsipur, in their garden house next to the Roy Chowdhurys' house. Her mother passed away at the time of her birth so perhaps when the Roy Chowdhury's mother suffered the same fate, Soudamini extended the hand of friendship to Somnath who was almost her age. Bhowmik Bari's closeness with Roy Chowdhury increased and on that basis, the fathers agreed on a proposal; when the eldest son Aniruddha came from abroad, she would be his wife. She was fourteen years old then. Soudamini wanted to make herself worthy of Aniruddha. She told her father that education at Balurghat’s English school was not enough to be a Barrister’s wife abroad. They left Tulsipur and came to Kolkata so that her father could enrol her for better education and grooming classes. Since she came to Calcutta, she spoke to A

Towards You

Kunwar Pratap and Ajabde were friends. He didn't feel awkward sharing his plans and thoughts with her anymore. She was more than happy to advise him on everything. She was happy he listened to her advice before taking or discarding them, be it on what to wear to Padmavati's Sagai or how to befriend the revolting Bhils. He loved the way Ajabde always used metaphors from Puranas and Ramayanas to explain the toughest things so easily. She expressed herself so well, so easily that it amazed him.   The Afghans were now led by Mehmood Shah. They have made secret territories in the forests and waited to attack. Rawatji and his spies had confirmed the news and Udai Singh had warned Mehmood Shah to withdraw his troops from Mewar in vain. Now, it was time they declared war. Mehmood Shah had limited resources in Mewar. And his spies clearly suggested that in no way could he win, especially with Kunwar Pratap leading his troops. He was having second thoughts about the war. One of his aides

The Zamindar’s Wife

"O Bou , looks like you have invited the daughter-in-law of the Zamindar house too!” Uma Thakuma said in a slightly displeased tone. Sampurna looked up at her mother-in-law, worried. Her age was not more than twenty-two, but she had been married for a long time though nobody kept track of years in villages. After such a long unfruitful marriage, there was a reason for happiness in the family, today was her Sadhpuron .  How could she have not invited the little sister who was her nearest relative in the village, to her baby shower? Even when Bondita was the daughter-in-law of the Zamindar's house, did it erase their blood relationship and grow into merely their class division? Her mother-in-law lowered her voice when she said, “Even if you invite her, she will not come. They are our God, have you ever heard that God comes down to earth to the house of the poor, my child?” However, Uma Thakuma’s tone was different when she saw Bondita, the daughter-in-law of the Zamindars.  &qu

Barrister Babu

Original in Bengali “What is this? How many times have I forbidden you, Devaditya?” Barrister Aniruddha Roy Chowdhury, the Choto Malik of Tulsipur said, feeling somewhat awkward as the Khajanchi's son Devaditya’s hand stopped on the briefcase at his stare. Aniruddha was now twenty-eight or twenty-nine, and though he was against the grandeur of the zamindars, his nobility and good nature reflected his pedigree. But like other privileged Bengalis, he did not support the Britishers. He was not hesitant to protest against any wrongs if need be. "I...I mean, you hired me, Malik , so..." Devaditya had to stop at Aniruddha's glare. He knew this look well. He has seen with his own eyes what terrible things could happen when the Choto Zamindar Babu got angry.  “You are my childhood friend Devaditya, you may work here but that doesn't mean you will open my car door when I come home. You are my colleague, my childhood friend, no matter what anyone says, I respect you, don&

Kolkata'r Meye

  কলকাতার মেয়ে  সৌদামিনী স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়া ছাত্রী । তার বয়েস হবে বাইশ, কিন্তু আজকালকার হালফ্যাসনের সাথে মানিয়ে চলতে এখনও বিয়ের কথা হয়ে ওঠেনি তার। তার ছোটবেলা কাটে তুলসীপুরে, রায় চৌধুরীদের বাড়ির পাশে তাদের বাগান বাড়িতে। মা গত হয়েছিলেন তার জন্মের সময় তাই হয়তো রায় চৌধুরী গিন্নির যখন একই পরিণাম ঘটলো, সৌদামিনী বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় প্রায়ে সমোবয়েসি সোমনাথের দিকে। রায় চৌধুরীদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বারে ভৌমিক বাড়ির আর সেই সূত্রেই পিতারা একমত হন এক প্রস্তাবে, বড় ছেলে অনিরুদ্ধ বিলেত থেকে এলে সেবাড়ির বউ হবে সে। তখন তার বয়েস চোদ্দ। নিজেকে অনিরুদ্ধের যোগ্য করে তুলতে চায় সৌদামিনী। বাবাকে বলে তুলসীপুর থেকে, বালুরঘাটের ইসস্কুলে নাম লিখিয়ে হবেনা তার বিদ্যাচর্চা। তুলসীপুর ছেড়ে তারা চলে আসে কলকাতা। এবং কলকাতা এসে থেকে অনিরুদ্ধের সাথে শুধুমাত্র পত্র সুত্রে কথা হয় তার। সে বোঝেনা হঠাৎ কেন কিছু বছর পর, অনিরুদ্ধ চিঠিতে ভালোবাসার ইঙ্গিত দেয়। কতটাই বা চেনে ওরা একে অপরকে? অনিরুদ্ধ তো আর পাঁচটা গ্রামের ছেলের মতন সহজ সরল না। সে কি করে ভুল বুঝতে পারে ভালোবাসার অনুভূতিকে? নাকি সৌদামিনী বোকা, বোঝেনা কিছু? সৌদামিনী

My Everything

Kunwar Pratap stormed into the Mahal at Gogunda. Happy faces of the chieftains and soldiers welcomed him as Rao Ramrakh and Rawatji stopped the ongoing Raj tilak. A visibly scared Kunwar Jagmal looked clueless at a visibly angry Kunwar Pratap. Rani Dheerbai Bhattiyani hadn't expected this son of Mewar to show up that too twenty-one days after his father's death. He was not informed as per Dheerbai's instructions. She looked at Rawat Ji. He must have gone to Raoji at Bijolia. No one except them knew where Kunwar Pratap was staying. It was for the safety of his family. " What are you doing Chotima?" A disappointed voice came. She could stoop down so low? " We were about to inform you..." She spoke up in her defence. " When Dheerbai ji?" Maharani Jaivanta Bai, clad in white entered the hall as people bowed before her. " After your son's coronation?" " I did nothing Badima I swear!" A low voice came from Jagmal. " Maha

Tiny Steps

" Akhiyan Hari Darshan Ko Pyasi. Akhiyaan Hari Darshan ko Pyaasi. Dekhio Chahat Komal Nayan Ko, Nisdina rehta udaasi. " Pratap's eyebrows narrowed before he slowly opened his eyes. He seemed to have fallen asleep lost in his thoughts. When; he couldn't tell. Today, for the first time he had missed the first rays of the sun. He sat up as the light of the morning sun fell into the room from the eastern window a little to the left of the bed. " Kesar tilak motin ki Maala, vrindavan ke vaasi." Pratap had heard this song too many times from Ranima. But the voice was not Ranima's. He immediately looked to his left at the empty place separated by the pillows as realisation dawned. He quickly removed the pillows from in between and placed them back before making his way towards the song. " Neh lagaye tyag gayen trin sam dhal gaye gal faasi. "   He stopped to spot the figure at the far end of the room. Her back was to him, she was still in the simple je

New Dawns

Ajabde entered Jaivanta Bai's puja Ghar to push through the crowd and reach the front. Standing beside Ranima she prayed. Eyes closed. Hands folded. Please protect Kunwarsa Kanha Ji. I won't ask for Bijolia's protection because I know, that once he is safe, so will Bijolia. She calmed her racing heart and her worries, to stand by Padmavati. With her impending wedding she was the most vulnerable now, Ajabde thought. Rana ji walked in for the aarti from Ranima as Kunwar Pratap and Kunwar Shakti followed. His eyes searched the crowd of hidden faces and found hers. How? She couldn't tell. But she felt good that he could find her.   He stared at her, his eyes full of worry as she nodded with a reassuring smile he could make out, beneath the semi-transparent veil. He knew she was just trying to reassure him when she needed the same. He looked away as fear crept in. Kunwar Pratap Singh was never in turmoil going to war, he had always looked forward to it, facing his enemies, a