Skip to main content

Posts

Showing posts with the label Bangla

Protisruti

  প্রতিশ্রুতি  বন্দিতা মা কে জড়িয়ে ধরে যেন প্রাণ ফিরে পায়।  “ভাল আছিস?” জিগেস করে সুমতি। বন্দিতা হঠাৎ খেয়াল করে আগের মতো তার মুখ দেখেই তার মা আর তার মনের অবস্থা বুঝতে পারেন না। তার সাথে হঠাৎ মনে পরে কত অনায়াসে অনিরুদ্ধ বোঝে যে তার মন খারাপ। একবার জিজ্ঞেস করেছিল সে স্বামীকে, কি করে তিনি বোঝেন তার মন খারাপ। ছোট বন্দিতাকে তার মতন করে বুঝিয়েছিলেন তার স্বামী। আজ বন্দিতা বড় হয়েছে কিন্তু সেই প্রশ্ন সে আর করতে পারেনা। বন্দিতাকে খাটিয়ার উপর বসিয়ে এর মধ্যেই সুমতি যায় তার জন্য মুড়ি মুড়কি আনতে। বন্দিতার চোখ পরে পায়ের নূপুরের উপর। তিনি বলেছিলেন “তুমি খুশি হলে তোমার নূপুরের আওয়াজ অন্যরকম হয়, আর তোমার মন খারাপ হলে অন্যরকম।” বন্দিতা নূপুরটা বাজিয়ে দেখেছিল সেদিন। আজকে সে জানে পার্থক্য তার নূপুরের শব্দে নয়, অনিরুদ্ধের পর্যবেক্ষণ শক্তিতে। আবার কেন তার কথা ভাবছে সে? বাড়ি এসেছে মায়ের কাছে। আর ভাববে না সে, হয়তো দু তিন দিন পর ত্রিলোচনবাবু পাঠাবেন বিহারী কে বন্দিতাকে বাড়ি নিয়ে যেতে, ততদিন মায়ের কাছে একটু শান্তিতে থাকুক না সে।  দুপুরে আম দুধ দিয়ে ভাত দেয় তাকে সুমতি। “তোর প্রিয় খাবার দেখ, মাম...

Answers

Aniruddha could not work all day. It started raining heavily outside, the curtains of the room swayed in the gusty wind, and things around the room toppled over. Koeli came to pick them up, to see if he wanted to eat anything, but Aniruddha wanted to be left alone. Countless questions and fears raced through his mind. Bondita never went home like she did that day. Rather, once a year, even before Jamai Sasti, she checked the household chores a hundred times. If Batuk had a test, if someone was sick, she was reluctant to go. She just packed a bundle so quickly and left for her mother’s place. Had she distanced herself from Aniruddha? Was it his fault? Anirudha started thinking. Could she not take him as a husband because he pushed her away and hurt her? Aniruddha repented for his actions. If indeed Bondita denied their relationship, knowing the truth behind it, could she be blamed? But was that why she was pretending to be asleep even though she was awake that night? What did she think ...

Uttor

  উত্তর   সারাদিন কাজে মন বসেনা অনিরুদ্ধর। বাইরে অঝোরে বৃষ্টি হতে থাকে, ঝোড়োও হওয়ায় ঘরের পর্দা দোলে , জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে যায়। কয়েলি আসে ছোট মালিকের জিনিস গুছিয়ে দিতে, তিনি কিছু খাবেন কিনা শুধোতে কিন্তু তাকে চলে যেতে বলে ঘরে খিল দেয় অনিরুদ্ধ। একা থাকতে চায়। তার মনে আনাগোনা করে অসংখ প্রশ্ন এবং আশংকা। যে ভাবে বন্দিতা স্বেচ্ছায় মায়ের কাছে গেল আজ, সেরকম সে কোনদিন যায়না । বরং বছরে একবার জামাই ষষ্টিতে যাওয়ার আগেও একশো বার বাড়ির কাজকম্ম দেখে শুনে যায়। বটুকের পরীক্ষা, কারুর শরীর খারাপ হলে তো কথাই নেই। সেই বন্দিতা আজ হঠাৎ বাড়ি যাবে বলে কি তাড়াতাড়ি পোটলা গুছিয়েছে। এতই কি দূরে চলে গেছে সে অনিরুদ্ধের থেকে? তা কি তার নিজের দোষে? ভাবতে থাকে অনিরুদ্ধ। সে দূরে সরিয়ে দিয়েছে বলে অভিমান না কি তাকে স্বামী রূপে গ্রহণ করতে পারেনা বন্দিতা? অনিরুদ্ধ পশ্চাতাপ করে। সত্যি যদি বন্দিতা সব জেনে তাদের সম্পর্ক অস্বীকার করে, তাকে কি দোষ দেওয়া চলে? তবে কি তাই সেদিন রাত্রে জেগে থাকা সত্যেও ঘুমের অভিনয় করছিল সে? কি ভেবেছে সে অনিরুদ্ধের ব্যাপারে? কেন চারিদিক বাছবিচার না করে এমন করল অনিরুদ্ধ? নিজের প্রতিজ্ঞ...

Going Home

Bondita's Mama came to Tulsipur to meet his daughter. He was a poor man and wore a short dhoti and a Batik shirt. It was wrong to come empty-handed to the daughter's house, so two pots of sweets accompanied him. Reluctantly, he had to go to Roy Chowdhury's house. They were the Zamindar of Tulsipur, the master of the father-in-law of Sampoorna, and they needed to be respected. Apart from that, the fate of the sister and niece whom he was reluctant to shelter and spent day and night rebuking them about had turned; the same sister now handed over some money to him by the end of the month, because of the kindness of Aniruddha Babu. He did not have the luxury of pushing Lakshmi away. Hence, it was necessary to come to the landlord's house to meet his niece. In their house, servants also dressed better than he; Look at the fate of the girl . Where he had arranged for her to stay in a corner of an old man's house, now Bondita was living a queen’s life.  Zamindar Trilochan ...

Ghore Fera

  ঘরে ফেরা   বন্দিতার মামা মেয়ের সাথে দেখা করতে আসেন তুলশিপুর। গরিবের ঘরের ছা পোষা চেহারা তার, পরনে খাটো ধুতি ও ছিটের জামা। মেয়ের শশুরবাড়িতে খালি হাতে আসা অন্যায় তাই দুটি মিষ্টির হাড়ি সাথে। অনিচ্ছা সত্তেও রায় চৌধুরী বাড়িতে যেতে হয় তাকে। তারা তুলশিপুরের জমিদার, সম্পূর্ণার শ্বশুরের মনিব, তাদের সম্মান করে চলা মঙ্গল। তা ছাড়া যে বোন  ও বোনঝিকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে দিনরাত কথা শোনাতে বাঁধতো না তার, সেই বোন  এখন মাস গেলে তার হাতে টাকা তুলে দেয়, অনিরুদ্ধ বাবুর দয়ায়। হাতে আসা লক্ষ্মী পায়ে ঠেলার বিলাসিতা করার মত মুরোদ নয় তার। অগত্যা বোনঝির সাথে দেখা করতে জমিদার বাড়ি আসা। এদের বাড়ির চাকররাও  তার থেকে ভাল পোশাক পরে; ভাগ্য দেখো মেয়েটার। কোথায় কোন বুড়োর বাড়ির এক কোণে পরে থাকার ব্যবস্থা করেছিল সে, এখন বন্দিতা রাজরানী।  জমিদার ত্রিলোচন রায় চৌধুরীর যাকে পছন্দ নয় তাকে তিনি সেটা বুঝিয়ে দিতে দ্বিধা বোধ করেন না। বন্দিতার মামা তার তেমন এক অপছন্দের পাত্র । বৌমার মুখে তিনি যা  শুনেছেন তারপর বৌমার তাদের প্রতি টান দেখে আশ্চর্য হন ত্রিলোচন বাবু। কিন্তু কুটুম্ব তারা। হাতে কর...