প্রতিশ্রুতি বন্দিতা মা কে জড়িয়ে ধরে যেন প্রাণ ফিরে পায়। “ভাল আছিস?” জিগেস করে সুমতি। বন্দিতা হঠাৎ খেয়াল করে আগের মতো তার মুখ দেখেই তার মা আর তার মনের অবস্থা বুঝতে পারেন না। তার সাথে হঠাৎ মনে পরে কত অনায়াসে অনিরুদ্ধ বোঝে যে তার মন খারাপ। একবার জিজ্ঞেস করেছিল সে স্বামীকে, কি করে তিনি বোঝেন তার মন খারাপ। ছোট বন্দিতাকে তার মতন করে বুঝিয়েছিলেন তার স্বামী। আজ বন্দিতা বড় হয়েছে কিন্তু সেই প্রশ্ন সে আর করতে পারেনা। বন্দিতাকে খাটিয়ার উপর বসিয়ে এর মধ্যেই সুমতি যায় তার জন্য মুড়ি মুড়কি আনতে। বন্দিতার চোখ পরে পায়ের নূপুরের উপর। তিনি বলেছিলেন “তুমি খুশি হলে তোমার নূপুরের আওয়াজ অন্যরকম হয়, আর তোমার মন খারাপ হলে অন্যরকম।” বন্দিতা নূপুরটা বাজিয়ে দেখেছিল সেদিন। আজকে সে জানে পার্থক্য তার নূপুরের শব্দে নয়, অনিরুদ্ধের পর্যবেক্ষণ শক্তিতে। আবার কেন তার কথা ভাবছে সে? বাড়ি এসেছে মায়ের কাছে। আর ভাববে না সে, হয়তো দু তিন দিন পর ত্রিলোচনবাবু পাঠাবেন বিহারী কে বন্দিতাকে বাড়ি নিয়ে যেতে, ততদিন মায়ের কাছে একটু শান্তিতে থাকুক না সে। দুপুরে আম দুধ দিয়ে ভাত দেয় তাকে সুমতি। “তোর প্রিয় খাবার দেখ, মাম...