Skip to main content

Posts

Showing posts from November, 2024

Realisation

That year Ranna Puja at the Roy Chowdhury home was special. It was the first time Bondita was supposed to cook the Bhog by herself. Trilochan Babu did not want to give her the responsibility of cooking alone until she was sixteen years old. Trilochan Babu reminiscenced how Aniruddha’s mother used to cook the entire Bhog alone from that age and there was no reason Bondita could not do the same. Aniruddha protested. "Is this the age for Bondita to do these things? Her exams are near." He stopped at Trilochan Babu's glare. Jethamoshai's expression was as if he knew what Aniruddha might say. "Look, she is your wife, you are teaching her to read and write, sending her to school, you don't listen to us, we have accepted that. But being the eldest daughter-in-law of Roy Chowdhury's house is not a responsibility she can ignore. She must follow the rules of our house, I am still here.” Aniruddha stopped at his words. “Don't you worry? I will study at night.”...

Upolobdhi

  উপলব্ধি   সেদিন বাড়িতে রান্নাপুজো ছিল । বন্দিতার সেবার প্রথম ভোগ রান্নার পালা। পনেরো বছর বয়েস অবধি তাকে একা ভোগ রান্নার দায়িত্ব দিতে চায়নি ত্রিলোচন বাবু। সেবার তার বয়েস ষোল হলে ত্রিলোচন বাবু জানায় ঠিক অনিরুদ্ধের মায়ের মতন ওই একই বয়েস থেকে সম্পূর্ণ ভোগ রান্না করবে সে। অনিরুদ্ধ প্রতিবাদ করে। “বন্দিতার এখন বয়েস এইসব করার? সামনে পরীক্ষা ওর।” ত্রিলোচন বাবুর চাউনিতে থেমে যায় সে। জ্যাঠামশাইয়ের হাবভাবটা এমন যেন তিনি জানতেন অনিরুদ্ধ কি কি বলতে পারে। “দেখো বাপু, তোমার স্ত্রী, তুমি পড়াচ্ছ লেখাচ্ছ আমাদের বাঁধা শোন না, আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু রায় চৌধুরী বাড়ির বড়বউ হওয়া মুখের কথা না। আমাদের বাড়ির রীতি মেনে তাকে চলতেই হবে, আমি এখনও বেঁচে আছি।” তার কথার সুরে থেমে যায় অনিরুদ্ধ। “আপনি চিন্তা করবেন না। আমি সব পড়া রাত্রে করে রাখবো।” আশ্বাস দেয় বন্দিতা। ‘আর কি, তারপর সারাদিন খেটে শরীর খারাপ হোক, আর পরীক্ষা দিতে হবে না, ভালই তো।” বিদ্রুপ করে অনিরুদ্ধ। বন্দিতা মুচকি হাসে। তাতে আরো রাগ হয় তার। “হাসছো কেন? মশকরা করছি আমি?” বন্দিতা আঁচল টেনে নেয় মাথার উপর। “আমি না করলে কে করবে এসব?” তার প্রশ্নে পাকা...

Man Bhanjan

  মানভঞ্জন  অনিরুদ্ধকে যদি কেউ কোনদিন বলত যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা ব্রাহ্ম সমাজের ও ইংরেজ সরকারের এক মস্ত ভুল, সে স্বদর্পে তার প্রতিবাদ জানাতে দ্বিধা বোধ করত না। সমাজের অনেক নিয়মকেই ভুল বলতে তার বাঁধে না। এমনকি একবার ব্রাহ্ম সমাজে দীক্ষিত হওয়ার ভাবনাও এসেছিল তার মনে। জমিদার বাড়ির কেউ নাকি গ্রামের কারুর অনুষ্ঠানে যায় না। খানিকটা জেদ করেই দেবদিত্যর বিয়েতে যেতে চেয়েছিল সে। তার প্রথম বিপ্লব সেটি। সেদিন নাকি দেবীপুর গ্রামে সমূহ বিবাহের আয়োজন। গরীব বাপেদের মঙ্গল হয় তাতে। অনেক খরচ বাঁচে। সম্পূর্ণার বাড়ি গরীব, তা দেবদিত্য আগেই বলেছে। এমন একটা অনুষ্ঠান দেখার ইচ্ছা অনিরুদ্ধের বহুদিনের। কিন্তু সেখানে গিয়েই তো দেখা বন্দিতার সাথে। নিজের ভাগ্য নিজের হাতে বদলায় সেদিন অনিরুদ্ধ। লোকে বলে সে নিজের জীবনে সর্বনাশ এনেছিল সেদিন। কিন্তু অনিরুদ্ধর ধারণা সে বন্দিতাকে উদ্ধার করেনি, বরং নিজের আলতা পরা ছোট্ট হাতে তার ঘর সামলে তাকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে বন্দিতা। কাউকে সে কোনদিন বলেনি সেই কথা। কেউ বুঝবেনা। বন্দিতাও না। স্ত্রীহীন সংসারে শ্রী এনেছিল সে। অনিরুদ্ধকে বারংবার আশ্বাস দিয়েছিল তার ভাবনা, তার জেদ আ...

Appeasement

If anyone had ever told Aniruddha that stopping child marriage was a big mistake on the part of the Brahmo Samaj and the British government, he would not have hesitated to voice his protest. The idea of ​​initiation into the Brahmo society came to his mind also. He was not afraid to opine that many rules of society were wrong.  One such was that no one from the Zamindar's house ever went to any villagers’ ceremonies. He wanted to go to Devaditya's wedding and he even argued with his father to allow him there. His first revolution was that. On that day, mass weddings were organized in Devipur village. It was good for poor fathers who saved a lot of money. Devaditya has already said that Sampoorna belonged to a poor house. Aniruddha's desire to see such a program had been there for a long time. But little did he know, he would find Bondita there. On that day, Anirudha changed his fate by choice. People said that he brought disaster in his life that day. But Aniruddha often th...