Skip to main content

Jomidar Ginni

জমিদার গিন্নি

ENGLISH TRANSLATED VERSION HERE


“ ও বৌ, বলি ও বাড়ির বড় গিন্নিকেও ডেকেছ দেকচি! “ খানিক ক্ষুব্ধ সুরে বলে উঠলেন উমা ঠাকুমা । সম্পূর্ণা মুখ তুলে শাশুড়ির দিকে চায়। বয়েস তার একুশ বাইশের বেশি হবেনা কিন্তু বিয়ে হয়েছে বহুদিন , তা বছরের হিসাব পাড়াগাঁয়ে কে রাখে? বিয়ের এতদিন পর সংসারে খুশির কারণ এসেছে। অনেক দুঃখের দিনের পর আজ সাধ পূরণ  তার।  প্রাণের চেয়ে প্রিয় ছোট বোনটিকে বাদ দেয় কি করে সে ? হোক না বন্দিতা জমিদার বাড়ির বড় বউ, তাতে কি রক্তের সম্পর্ক মুছে গিয়ে বড় হয়ে দাড়ায়ে শুধু তাদের শ্রেণীগত বিভাগ? শাশুড়ি মুখ বেঁকিয়ে বলেছিল, “ডাকচো ডাকো বাপু, কিন্তু সে আসবেনা। তারা আমাদের ভগবান, তা শুনেছো কোনদিন ভগবান গরিবের ঘরে এসে দাড়িয়েছে, বাছা?”

তবে জমিদার বাড়ির বড় গিন্নি বন্দিতা কে দেখে উমা ঠাকুমার সুর যেন অন্য রকম। 
“ঈয়ে .. মানে ও বৌমার নিজের পিসির মেয়ে কিনা তাই.. “ ইতস্তত করে বলেন বাড়ির গিন্নি।
“জমিদারের বউ, তাই লোকে সাহস করে দু’চার কথা বলেনা কিন্তু বিয়ে তো হল অনেকদিন।” উমা ঠাকুমা চোখের কোন দিয়ে দেখলেন কেমন দেবতার আগমনে সরগোল পরে গেছে। সম্পূর্ণার দিকে আর কারো দৃষ্টি নেই। 
“তা বাচ্চাকাচ্চা তো হলনি । অমন মেয়ের দৃষ্টি যদি তোমার ঘরের কুলদীপের উপর এসে পরে তা কি ভাল হবে বাছা?” বাঁড়ুজ্জে গিন্নি কেমন জানি ভয় পেল। কথা তা তো নেহাত ভুল না। যেমন করেই হোক না কেন, বিয়ে তো হয়েছে একই দিনে, অনেক বছর হল বই কি। হন্তদন্ত করে অতিথি সৎকার করতে গেলেন তিনি। মনের আশঙ্কা  প্রকাশের অবকাশ নেই তার। 

দামি তসরের উপর কাঁথার কাজ করা হলদে লাল শাড়ী পরে যিনি সম্পূর্ণার সম্মুখে এসে দাড়িয়েছেন , এই সব আলোচনা যাকে ঘিরে, সেই বন্দিতার বয়েস ষোলোর বেশি হবেনা। উমা কাকিমা বিদ্রুপ করলেও এই ক’বছরে তুলসীপুরের গ্রাম ও মানুষের কাছে তাদের ছোট মালকিন বন্দিতা সত্যি করে হয়ে উঠেছে ভগবান তুল্য । জমিদার বাড়ির একমাত্র গিন্নি হয়েছে সে, মাত্র আট বছর বয়েসে দুই মাতৃহীন ঠাকুরপোর বন্ধু হয়েছে সে। গ্রামের মানুষের সুবিধা অসুবিধা শুনে নির্দ্বিধায় জমিদার ত্রিলোচন রায় চৌধুরীকে জানায় সে। সম্পর্কে তিনি তার জ্যাঠা শ্বশুর হলেও  বদ মেজাজি জমিদার বাবু তার “মা” ডাকা এই বৌমাটির নালিশ ছেলের মত চুপ করে শোনেন বটে। সারা গ্রাম জানে সে কথা। তাই তাদের সুখে দুখে পাশে দাড়ান এই জমিদার গিন্নি ভগবান না হলেও মাতৃতুল্য বটেই। সেই যে সেবার যখন দত্তদের মেয়ের বিয়ে প্রায় জন্য ভেঙে যেতে বসেছিল, নিজের হাতের বালা নির্দ্বিধায় খুলে দিয়ে তাদের উদ্ধার করেছিল বন্দিতা, আশাও করেনি যে তারা তার ঋণ শোধ করবে। বলেছিল এই কথা যেন জমিদারবাবু জানতে না পারেন। 
“আমাদের মতো ঘরের মেয়ে কিনা, তাই আমাদের কষ্ট বোঝেন তিনি।” তখন এই মহিলাবৃন্তই চোখ মুছে বলাবলি করেছিল। 

বন্দিতার পড়াশুনা নিয়ে সে কি কম ঝামেলা দেখেছে তুলশিপুর? এই যে সম্পূর্ণার শ্বশুরমশাই , জমিদার বাড়ির খাজাঞ্চী, উনিই তো বলেছেন এসে সবাইকে রসিয়ে রসিয়ে সেসব ঘটনা। বাপ ছেলের সে কি ঝগড়া, কাক চিল বসার যো নেই । তা বিয়ে করেছিস কর, গরিবের মেয়ের উপকার করেছিস, জাত কুল বিদেশেই বর্জন করে এসেছিস, তা বলে এমনটা কি কেউ কোনো দিন শুনেছে? বাড়ির বউ কিনা ইস্স্কুল যাবে, ইংরিজি শিখবে, তাও আবার তুলসীপুরের জমিদারবাড়ির বড় বউ? 

অনিরুদ্ধ বাবু কি বিলেত থেকে ফিরে পাগল টাগল হলেন নাকি? তা এখানে যা গরম ওনার সয় না  বোধ হয়।  এমন রসিকতা ও সরগোল বেঁধেছিল পঞ্চায়তের মোড়লদের গড়গড়ি টানা আড্ডাখানায়ে। তা কেউ যা কোনদিন ভাবেনি  তাও হল। বন্দিতা শাড়ী জুতো মোজা পড়ে জমিদারদের ফিরিঙ্গি গাড়ি চড়ে স্কুলেও গেল, স্বামী নিজে তাকে নিয়ে গেলেন সর্বসম্মুখে। আবার অনিরুদ্ধ বাবুর তাগিদে আর বন্দিতার শিক্ষায় তুলসীপুরেও ক’বছরের মধ্যেই খুলে গেল মেয়েদের ইস্কুল। তাতেই তো কাজ করে সম্পূর্ণার দেওর। 


“তা বাপু এতই যে ঢলানি দেখি কত্তা গিন্নির” হেসেই বললেন মিত্র বাড়ির ছোট বউ, “তা একটা সন্তান হচ্ছেনা কেন?” তার কথায়ে অনেকেই সায় দিল। “বলি গরিবের মেয়ের কোন দোষ ঢাকতে এই পড়াশুনার অজুহাত?” 

“আমি তো শুনেছি আধা সপ্তাহ সেই কলকাতায় পরে থাকেন উনি, তা সেখানে কি মধু আছে কে জানে?” উমা ঠাকুমা গলা নামিয়ে বলল। তাদের সকলের চোখ বন্দিতার দিকে, কি যেন উপহার এনেছে সে দিদির জন্য। সম্পূর্ণা ধরতে গেল কিন্তু তার শাশুড়ি তা আগেই ছিনিয়ে নিয়ে, জমিদার গিন্নিকে বসতে দিলো  আসন পেতে। 

“আরে, ও বউ, তুমি দেখি কিছুই জানো না!” বলে উঠল মিত্তির গিন্নির শাশুড়িমা, “উনি যে উকিল! কাজে যান হয়তো।”

“তুমি থামো তো গিন্নি।” উমা ঠাকুমা আবার বিদ্রুপ করলেন “ শাশুড়ী হয়ে  গেলে তাও বুদ্ধিশুদ্ধি হলোনা। তা রোজ রোজ কলকাতা তে কাজ থাকলে বউকে নিয়ে গেলোনা কেন ওখানে? অনেকেই যে যায় আজকাল কলকেতে থাকতে।”

“আহ! তাহলে ওই কচি গ্রামের মেয়েগুলোর মাথা খাবে কি ভাবে শুনি? তারা নাকি পড়ে মহা দিগ্বজ  হবে, দেশ উদ্ধার করবে।” হঠাৎ হেসে উঠলেন সকলে।


বন্দিতা মেঝের দিকে চেয়ে মন দিয়ে শুনছিল সম্পূর্ণার কথা, জামাই বাবু মামাকে চিঠি পাঠিয়েছে, তারা আসবে মেয়ে কে দেখতে। তার শ্বশুরমশাই রাজি থাকলে নিয়ে যাবে তাকে বাড়িতে। কতদিন বাড়ি যায়নি বন্দিতা। বন্দিতার মা আসবে কি? বিধবাদের তো আবার শুভ কাজে আসা নিষেধ। অনেকদিন মা কে দেখেনি সে। কিন্তু সে কথা জিজ্ঞেস করা কি উচিত? বন্দিতা জানে জামাইবাবু কাজ করে ব্যারিস্টার বাবুর কাছে। তার যে কোন জিজ্ঞাসাকে আদেশ ভাববে এরা। হয়তো জামাইবাবু লিখে জানাবে মামাকে। মামীর টিকিটে আসবে মা। সম্পূর্ণা দিদির এখন মামীকে বেশি দরকার। হঠাৎ হাসির শব্দে তাকায় সেদিকে। তাকে চাইতে দেখে মহিলারা এমন হাবভাব করতে লাগলেন যেন তাকে সেখানে প্রথম দেখলেন তারা। 


“আরে , জমিদার গিন্নি যে, ভালো তো?” বন্দিতা একটু হেসে মাথা নাড়ে । সে জানে এরা তার ভালো জানতে চায়না । এদের সবার মুখ তার চেনা, চরিত্র জানা। দূরে বসে সে বলে দিতে পারে এরা কার  বিষয় কি কথা বলছিল। কিন্তু থাক সে সব কথা। প্রয়োজন পরলে সে তাদেরও  শুনিয়ে দিতে পারে, শুনিয়েছেও বহুবার। আজ নয়। আজ শুধু সম্পূর্ণা দিদির বোন সে এখানে। এদের শুনিয়েও বা কি লাভ। ব্যররিস্টার বাবু বলেন, কিছু লোকের কথায় কান না দেওয়াটাও বুদ্ধিমানের লক্ষণ, বুঝলে বন্দিতা? বন্দিতার হঠাৎ হাসি পেল । উনি এখানে থাকলে তাদের সাথে দক্ষ যজ্ঞ বেঁধে যেত। তাহলে কি তার বুদ্ধি ওনার থেকে বেশি? নিজের ভাবনায়ে  হেসে ফেলে বন্দিতা। 

“কিরে, হাসছিস কেন?” সম্পূর্ণার কথায়ে আচমকা তাকাল বন্দিতা। তার দৃষ্টিতে বরাবরই বুদ্ধিমত্তার ছোয়া । সম্পূর্ণা অনেকবার শুনেছে নিজের শাউড়ি মা বা স্বামীর থেকে বন্দিতাকে আপনি আজ্ঞে করতে, ছোট থেকে দেখে আসা বোনটির জন্য সেসব সম্বোধন আসেনা তার। বন্দিতা বা জামাইবাবু জমিদারবাড়ি বা এই গ্রামের অন্যদের মতন বিশ্বাস করেনা শ্রেণী বিভাগে। তাই বোধ করি সম্পূর্ণার সুবিধাই হল। 


“আমি উঠি।” হঠাৎ বন্দিতার কথায়ে  তার  হাত আলতো  করে চেপে ধরলে সম্পূর্ণা। জোর সে করতে পারেনা। বন্দিতা শুধু তার বোন  নয়, মনিব ও বটে। সেটা অস্বীকার করার মতন ক্ষমতা তার নেই। 

“সে কি! খাবিনা ? আমার সাধ পূরণ দেখবি না?” জিজ্ঞাসা করে সম্পূর্ণা। ম্লান হেসে ফেলে বন্দিতা, “আমি যতক্ষণ আছি, তোমার তো অনুষ্ঠান হবে না গো  দিদি, আমি যাই।”

“বন্দিতা শোন , আসলে এরা …”

“থাক না দিদি, আবার আসব একদিন। ব্যারিস্ট্রা বাবু বলেছেন কলকাতা নিয়ে যাবেন একদিন আমাকে, তোমার জন্য কিছু জিনিস নিয়ে আসব। মামারা  এলে ওবাড়ী যেতে বোলো, কেমন?” সম্পূর্ণার চোখ ছলছল করে, তা হয়তো শুধু বন্দিতা দেখে। হাতে হাত রেখে সরিয়ে নেয় সে। 

“আমি যাই  আজ  দিদি, অনেক বেলা হলো, সবাই বসে থাকবে। কেউ তো খায়না আমি ভাত বেড়ে না দিলে, উনিও এলেন বলে।” হন্তদন্ত করে উঠে পড়ল জমিদার গিন্নি।





Comments

Popular posts from this blog

The Zamindar’s Wife

"O Bou , looks like you have invited the daughter-in-law of the Zamindar house too!” Uma Thakuma said in a slightly displeased tone. Sampurna looked up at her mother-in-law, worried. Her age was not more than twenty-two, but she had been married for a long time though nobody kept track of years in villages. After such a long unfruitful marriage, there was a reason for happiness in the family, today was her Sadhpuron .  How could she have not invited the little sister who was her nearest relative in the village, to her baby shower? Even when Bondita was the daughter-in-law of the Zamindar's house, did it erase their blood relationship and grow into merely their class division? Her mother-in-law lowered her voice when she said, “Even if you invite her, she will not come. They are our God, have you ever heard that God comes down to earth to the house of the poor, my child?” However, Uma Thakuma’s tone was different when she saw Bondita, the daughter-in-law of the Zamindars.  &qu

Unexpected

" This is your room Ranisa." Hansa opened the door to the well-furnished large guest room of the Bijolia Palace. The diyas were lit and the room was neat and clean. " Your Daasis decorate the rooms well." Jaivanta Bai looked around. " Oh, Ranisa. all these... " Hansa smiled proudly. " All these are done by my daughter." " Your daughter?" Jaivanta Bai smiled surprised. " Milwayiye ." Jaivanta Bai was eager to meet her. " Ajabde! Ratan!" Hansa called as the girls came in. 13-year-old Ajabde preferred a simple lehenga in a pink and blue Dupatta clad over her head. She was the first one to calmly bend down and touch Maharani's feet as a five-year-old Ratan came running. " Ajabde is very talented in sewing, gardening and home decor. She can also...." " Maa Sa...." Ajabde's soft protest stopped Hansa as Jaivanta Bai smiled. " Accha, I won't tell but these are your good talents, right?

Towards You

Kunwar Pratap and Ajabde were friends. He didn't feel awkward sharing his plans and thoughts with her anymore. She was more than happy to advise him on everything. She was happy he listened to her advice before taking or discarding them, be it on what to wear to Padmavati's Sagai or how to befriend the revolting Bhils. He loved the way Ajabde always used metaphors from Puranas and Ramayanas to explain the toughest things so easily. She expressed herself so well, so easily that it amazed him.   The Afghans were now led by Mehmood Shah. They have made secret territories in the forests and waited to attack. Rawatji and his spies had confirmed the news and Udai Singh had warned Mehmood Shah to withdraw his troops from Mewar in vain. Now, it was time they declared war. Mehmood Shah had limited resources in Mewar. And his spies clearly suggested that in no way could he win, especially with Kunwar Pratap leading his troops. He was having second thoughts about the war. One of his aides

The Promises

“Love comes unexpectedly, like a gust of wind in the summer afternoon.” The morning was gloomy at Bijoliya. Rawat Chundawat and Rao Ramrakh Punwar sat with dejected faces that showed that they had been insulted enough for their idea of peace by the Rana. Kunwar Partap sat rubbing his hands with a frown. Kunwar Shakta fumed at his father’s irrational behaviour. “I apologize.” Kunwar Partap broke the silence “On his behalf, for your insults.” Rao Ramrakh looked up at the crown prince joining his hands before him, in shock. “No No Kunwarsa!” He held his hands humbly “You need not apologize. Ranaji is right. This is his decision, we cannot…” His words faded out as Rawatji placed his hand gently on his shoulder. “It cannot be his decision if it is Mewar’s future at stake Raoji.” Kunwar Shakta fumed. Kunwar Partap shot him a warning glance that made him stop. Kunwar Shakta was angrier at what Rawatji mentioned. Their father had even gone to the extent of breaking personal ties

Abhi Naa Jao

“ Main Rahoon Ya Na Rahe koi Nishaan Mera... Mehfoos Haato Mein Rahega Yeh Jahan Mera.” Ajabdeh’s head hurt. The last thing she remembered was that she had lost contact with the base as well as Jalal. Her device had some technical glitch and she had no idea when either Major Singh or King was going to arrive with backup. She saw the gang load their boxes into small trucks and decided to go ahead with the mission all by herself minus the backup. She had no time to wait for them. They needed to be stopped from escaping. Since the day she wore the uniform, Ajabdeh had never cared about her life. Yet that day, when she was putting the silencer on her gun, her eyes stopped briefly at the name on her faded Mehendi and her heart skipped a beat. In a moment, she believed he would understand. She sighed and took a deep breath before charging. Major Pratap Singh had never done this before. He had defied the order of his senior to retreat after their cover had been blown by Captain

She Left...

The war was over and so were the hopes of regaining Chittor. The Battle at Haldighati had robbed the Rana of all his wealth, and brave men, and bruised him for life. Trying to match up to Akbar or rather Raja Man Singh's army with one-third its strength had cost his bravery dearly. He had lost his friend and companion. He had brushed past death. The only good thing that this war ensured was that Akbar accepted that he cannot have Mewar. His army retreated and left the country in peace after almost two decades and seventeen wars. This war gave something else too. Kunwar Shakti came to help his brother in his time of need. He lived up to his brother's expectations of being loyal to his family. A heavy-hearted Rana Pratap Singh was overseeing the construction work on his lost friend's memorial right where he died, trying to save his master. The Bronze statue of the life-like Chetak stood tall but was no match for the void Chetak has left behind. He was lost in his thoughts as

The Marriage

“The knots of destiny were tied, fate sealed, and she knew she had lost her in him, as souls entwined.” As soon as Ajbante Kanwar tilted the bowl of rice at the threshold of the Kumbha Palace at Chittorgarh, she felt a deep surge of emotions inside her. It had been a long journey from the time she had dreamt this dream to a struggle of the mind and heart, and finally, she had seen in his eyes a sense of respect she was looking for, for who she was. Today, the corner of her red veil was tied to his stole as she crossed the threshold into the Sisodia house, her soul knotted to him, for eternity. She felt like all her prayers had been answered.  Ajbante Kanwar was however alert ever since she stepped inside the Ranimahal. From as much as she had heard of the Ranimahal, from her mother, newcomers were often tested here. It was a game of tactful survival and diplomacy; she had to make sure Kunwar Partap was proud of his decision. Her words and moves were to be accounted for very

Of Faith and Fate

Series Announcement! Historical Fictions are special, so here is one, short but special tale close to my heart after a really long time! This story is a special one because it is completely historical fiction with very little connection to the fan fiction I have written previously. However, I have maintained the sequence of events, reading history books on the context.  This is not a story of a man and a woman, their love and trust. This one is about the tests time often puts people through, forcing them to change. My protagonists in this one are hence, two princesses of the same age. Ajabdeh Punwar or Ajbante Kanwar Baisa, as she is locally called is the princess of a very significant district of Bijolia in Mewar. Bijolia lies in the seat of political events, at the border of Bundi and Mewar. Having her lineage from the mighty Chauhans, her forefathers once ruled Mewar. Her father is an officer in the army of Mewar under Rana Udai Singh and she is a lady of principles,

What was That?

As Days Passed By... Kunwar Pratap was by now used to being called Aswapalak by everyone as Ajabde still stumbled upon “Kun…” and “Pr…” once in a while. He had managed to take time out and tell her about the letters he received. His mother was fine, and everyone missed him, he felt happy. She smiled at his childlike enthusiasm, as he read out parts of Majhli Maasa’s letter. Two days went in a flash as Ajabde got busy taking care of her friend’s wedding. Everyone was in praise of the way she single-handedly took care of every detail so easily. Ajabde was dressed in an orange and gold lehenga and minimum jewellery for the wedding. She had taken up the task of dressing up the bride all by herself. She had put the dupatta on her friend’s head as Saubhagyawati blushed and Ajabde smiled a satisfied smile. She held her friend’s stone-cold hands reassuringly as the nervous bride managed a smile. The sound of drums filled the air and Ratan came shouting “The groom is here.” Ajabde