Skip to main content

Posts

Heartfelt Thoughts

"What are you thinking, Bouthan?" The book slipped from Bondita's hand as she was startled by the sudden intervention. Batuk laughed. His age was almost the same as hers if not more. He was Aniruddha's younger brother but also Boudi's first childhood friend in Tulsipur. "Did I interrupt your thoughts about Dada?" Batuk mockingly asked as she glared at him.  "You startled me like that, I was reading a book, Thakurpo!" She said, "What do you want?" "I am hungry," Batuk said rubbing his hand on his stomach a little sheepishly. Bondita was amused.  "You just ate so much a while back."  "Don't you know you should not keep an eye on how much someone eats?" Batuk frowned. "Especially a Zamindar. It's bad manners." "Yes, I understand." Bondita nodded amused. "So Zamindar Babu what will you eat now? Apple? Oranges and lemons? Jaggery bread?” “Give me whatever you want. I don’t judg

Moner Kotha

  মনের কথা  “কি ভাবছো বৌঠান ?” চমকে ওঠে বন্দিতা, তার হাত থেকে পরে যায় বইটা। বটুক হেসে ওঠে। বয়েস তার হবে বন্দিতারই মতন, বেশি তো কম না। বৌদির ছেলেবেলার বন্ধু সে।  “দাদার ভাবনায়ে ব্যাঘাত ঘটলাম বুঝি?” বটুকের ঠাট্টায়ে তার দিকে তিক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায়ে বন্দিতা।  “এরকম চমকে দিলে যে, বই পড়ছিলাম তো, ঠাকুরপো!” বলে ওঠে সে, “কি চাই শুনি?” “খিদে পেয়েছে।” পেটে সামান্য হাত বুলিয়ে বলে বটুক। বন্দিতার মাথায়ে হাত।  “এই তো খেলে পেট পুরে।”  “কারুর খাবার নিয়ে এরকম বলতে নেই  জানোনা?” ভ্রূকুটি করে বলে বটুক। “জমিদারের খাওয়া নিয়ে তো আরই না।” “তাই বুঝি?” ঠাট্টা করে শুধোয় বন্দিতা। “তো জমিদার বাবু কি খাবেন এখন?আপেল? কমলা লেবু? গুড় রুটি?” “তা তোমার যা ইচ্ছা। খাবারের বাছ বিচার করতে নেই।”গম্ভীর হয়ে জানায় বটুক।  “থাক হয়েছে। এস দেখছি।” তাঁকে নির্দিধায়ে অনুসরণ করে বটুক রায় চৌধুরী গেলেন হেঁসেলের দিকে।  “দাদার আসতে আজকে দেরি হবে?” তার বৌদির পাশে পিড়ি  পেতে বসে শুধয়ে সে।  “তা জানিনা । কিন্তু পরী দিদির বাচ্চাদের স্কুলে যাবেন একবার। কি জানি দরকার।” ফল কাটতে বসে বন্দিতা। কোয়েলি  ছুটে আসে, “আমায় দিন না।” “কটা ফলই তো, তুমি বিশ্র

The Girl From Kolkata

Soudamini was a student of Scottish Church College. She would be twenty-two years old, but in keeping with the day’s city life and fashion, she was not married yet. She spent her childhood in Tulsipur, in their garden house next to the Roy Chowdhurys' house. Her mother passed away at the time of her birth so perhaps when the Roy Chowdhury's mother suffered the same fate, Soudamini extended the hand of friendship to Somnath who was almost her age. Bhowmik Bari's closeness with Roy Chowdhury increased and on that basis, the fathers agreed on a proposal; when the eldest son Aniruddha came from abroad, she would be his wife. She was fourteen years old then. Soudamini wanted to make herself worthy of Aniruddha. She told her father that education at Balurghat’s English school was not enough to be a Barrister’s wife abroad. They left Tulsipur and came to Kolkata so that her father could enrol her for better education and grooming classes. Since she came to Calcutta, she spoke to A

Kolkata'r Meye

  কলকাতার মেয়ে  সৌদামিনী স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়া ছাত্রী । তার বয়েস হবে বাইশ, কিন্তু আজকালকার হালফ্যাসনের সাথে মানিয়ে চলতে এখনও বিয়ের কথা হয়ে ওঠেনি তার। তার ছোটবেলা কাটে তুলসীপুরে, রায় চৌধুরীদের বাড়ির পাশে তাদের বাগান বাড়িতে। মা গত হয়েছিলেন তার জন্মের সময় তাই হয়তো রায় চৌধুরী গিন্নির যখন একই পরিণাম ঘটলো, সৌদামিনী বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় প্রায়ে সমোবয়েসি সোমনাথের দিকে। রায় চৌধুরীদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বারে ভৌমিক বাড়ির আর সেই সূত্রেই পিতারা একমত হন এক প্রস্তাবে, বড় ছেলে অনিরুদ্ধ বিলেত থেকে এলে সেবাড়ির বউ হবে সে। তখন তার বয়েস চোদ্দ। নিজেকে অনিরুদ্ধের যোগ্য করে তুলতে চায় সৌদামিনী। বাবাকে বলে তুলসীপুর থেকে, বালুরঘাটের ইসস্কুলে নাম লিখিয়ে হবেনা তার বিদ্যাচর্চা। তুলসীপুর ছেড়ে তারা চলে আসে কলকাতা। এবং কলকাতা এসে থেকে অনিরুদ্ধের সাথে শুধুমাত্র পত্র সুত্রে কথা হয় তার। সে বোঝেনা হঠাৎ কেন কিছু বছর পর, অনিরুদ্ধ চিঠিতে ভালোবাসার ইঙ্গিত দেয়। কতটাই বা চেনে ওরা একে অপরকে? অনিরুদ্ধ তো আর পাঁচটা গ্রামের ছেলের মতন সহজ সরল না। সে কি করে ভুল বুঝতে পারে ভালোবাসার অনুভূতিকে? নাকি সৌদামিনী বোকা, বোঝেনা কিছু? সৌদামিনী

Tulsipurer Kotha

তুলসীপুরের কথা দেশ যখন স্বাধীনতা সংগ্রামের আগুনে জলছে, একদিকে চলছে যুগান্তর দলের একের পর এক আক্রমণ ইংরেজ সরকারের দফতরে, কোষাগারে, কিংবা নিশানা হচ্ছেন বড় বড় সরকারী কর্মচারী, দিনাজপুরের এক কোণের ছোট্ট গ্রাম তুলসীপুর তার থেকে বাদ যায় কি করে? স্বদেশী আন্দোলনে দলে দলে ছেলেমেয়েরা যোগ দিচ্ছে কংগ্রেস কিংবা বেঙ্গল ভলেনটিয়ার্সে। জমিদার ত্রিলোচন রায় চৌধুরীর বয়েস এখন পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। বিয়ে তিনি করেননি। প্রপিতামহের জমিদারি তিনি সামলান। মানুষ করেছেন মাতৃহীন তিন ভ্রাতুসপুত্রদের এবং ইংরেজদের রায় বাহাদুরী খেতাবের লোভে দেশ বেচতে নারাজ তিনি। তার জন্য নিয়মিত ঝক্কি পোয়াতে হয় তাকে। এই যেমন শীতের শেষের দিক এখন। সকালের চাটায় সবে চুমুক দিতে যাবেন এমন সময়ে পুরোনো চাকর বিহারী এসে জানায় বালুরঘাট থানার পুলিশ এসেছে দেখা করতে। আর এক পেয়ালা চা আনতে পাঠিয়ে সোজা হয়ে বসেন জমিদার ত্রিলোচন রায় চৌধুরী। ডাক পরে তার ইংরিজি বলা, সাহেবদের সাথে ওঠাবসা করা ছোট ভাইয়ের।দুই ভাইয়ের এই একটি বিষয় ঘরতর অমিল। বিনয় রায় চৌধুরীর সাথে তার বড় ছেলের চেহারার অনেক মিল, ছেলের চল্লিশে পা পড়লে হয়তো এমনই চেহারা হবে তার।   সাহেব পুলিশ এসে দাড়াল জমিদ

Tulsipur

When the country was ignited with the fiery spirit of freedom, on one side, Yugantar Dol was attacking the offices of the British government one after another, and on the other, the treasuries or officials were being constantly targeted or gunned down, how could Tulsipur, a small village in a corner of Dinajpur, be left out of it? People were joining Congress or Bengal Volunteers in groups in a bid to contribute to the movement.  Zamindar Trilochan Roy Chowdhury was now fifty-four years old. He remained unmarried throughout his life, being a parent to his three motherless nephews. He managed his great-grandfather's estates, and he was unwilling to sell his pride in the greed of the title of Ray Bahaduri to the British. He had to fight regularly for that.  This was the end of winter. Just as he was about to sip his morning tea, the old servant Bihari came and informed him that an officer of Balurghat Police Station had come to meet him. Zamindar Trilochan Roy Chowdhury sent for anot